যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের একটি কমিটি সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর দেয়া বক্তব্যকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পার্লামেন্টের একটি কমিটি কক্ষের এক সভায় বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
’ গত শুক্রবার লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের একটি কমিটি কক্ষে এক সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেছেন, তত্কালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য সেনাবাহিনীকে উত্সাহিত করেছিলেন।
মির্জা ফখরুল দাবি করে বলেন, ৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য সব সময় লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। নব্বইয়ে সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম করেছেন।
৫ জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচনকে আড়াল করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লন্ডনে যা বলছেন, তা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। চীন থেকে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৩২ নং ধানমণ্ডির বাড়িতে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু ইতিহাস বলে, ৫ দিনের মধ্যে তাকে বাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। ওই বাড়ির সব স্বর্ণাঙ্কার, হীরা-গহনাসহ সব জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়। কেবল অস্ত্রশস্ত্র যেগুলো ওই বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল, তা দেয়া হয়নি।
চট্টগ্রামে নিহত হওয়ার পর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাড়ি ও তার দুই ছেলের পড়াশোনার অর্থ সহযোগিতা দেয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সঠিক নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর সংসদে তার পরিবারকে বাড়ি ও দুই ছেলেকে পড়াশোনায় সহযোগিতা দেয়ার জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়।
তার ভিত্তিতেই সরকার জিয়া পরিবারকে তা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই সংসদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, খান এ সবুর, আতাউর রহমান খান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাশেদ খান মেনন প্রমুখ রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য রেখে নানা প্রস্তাব করেছিলেন। সে অনুযায়ী সংসদ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।