বিশ্বকাপের দীর্ঘ ইতিহাসে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল কখনও দেখেনি ফুটবল বিশ্ব। এবার সেই রোমাঞ্চ দেখার অপেক্ষায় আছে পুরো বিশ্ব। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নান্দনিক ফুটবলের পূজারির সংখ্যাটাও সব থেকে বেশি। তাই এমন কিছু ঘটলে সেটা নিঃসন্দেহে হবে অন্য উচ্চতার এক লড়াই। আর সেমিফানোলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিদায় নিলেও তৈরি হবে ইতিহাস। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হলেও সেটা হবে প্রথম আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণীর লড়াই।
সুতরাং এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল লড়াইয়ের মঞ্চটা তৈরি হয়ে গেছে বলাই যায়। তবে যদি যে কোন এক দল বিদায় নেয় সেমিফাইনালে তবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দ্বন্দ্ব দেখার সৌভাগ্য হবে না ফুটবলপ্রেমীদের। তবে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল সেমিফাইনালে থেমে যেতে চাইবে না। আর আর্জেন্টিনাও দুই যুগ পর শিরোপা স্পর্শ করতে চাইবে। আর সেই চাওয়া যদি পূর্ণ হয় তবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল লড়াই মঞ্চায়িত হবে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে।
পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হবার পথে কোনবারই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হয়নি ব্রাজিলকে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিল খেলেছে তিনবার। আর সেই তিন বার ১৯৩৮, ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও কখনো প্রতিপতক্ষ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে সামনে পয়নি তারা।
আর আর্জেন্টিনা কখনও সেমিফাইনলে থেমে যায়নি। তাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হয়নি তাদের এখন পর্যন্ত। আর ১৯৩০, ১৯৯০ সালে উরুগুয়ে ও জার্মানির বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়। আর আলবেসেলেস্তিরা ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিকে হারিয়ে। তাই বিশ্বকাপে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল লড়াইটা এখন পর্যন্ত উপহার দিতে পারেনি কোন বিশ্বকাপই।
ফলে এবার সেমিফাইনাল জয় করে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হলে সেটা হতে পারে ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ লড়াইগুলোর একটা। আর সেটা না হলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা রোমাঞ্চ দেখার সুযোগ হতে পারে ফুটবলপ্রেমীদের। সেমিতে লাতিন আমেরিকার দুই দলের পরাজয়ে তৈরি হতে পারে সেই মঞ্চ।