ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সেদেশের মুসলিম শরীয়া আদালতগুলো বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর এসব আদালতের কোনো আইনি ক্ষমতা থাকবে না এবং এসব আদালতের কোনো সিদ্ধান্ত জোর করে বাস্তবায়ন করা যাবে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চের এ রায় পড়ে শোনান বিচারপতি সি.কে প্রসাদ। তিনি বলেন, “প্রচলিত আইনে শরীয়া আদালত অনুমোদিত নয় এবং এসব আদালতের ফতোয়ার কোনো আইনি ভিত্তি এই দেশে নেই।
” পারিবারিক জীবন এবং বিয়ে ও তালাকসহ এ ধরনের অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়ে ভারতের মুসলমানরা স্বতন্ত্র আইন মেনে চলেন। শরীয়া আদালত সাধারণত এ ধরনের বিষয়ের নিস্পত্তি করার পাশাপাশি মুসলমানদের মধ্যে মতবিরোধ দূর করতে মধ্যস্থতা করে।
সেক্যুলার ভারতের এসব আদালত ধর্মীয় আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সোমবারের রায়ে বলেছে, শরীয়া আদালত তখনই কোনো রায় বা ফতোয়া দিতে পারবে যখন কেউ স্বেচ্ছায় শরণাপন্ন হবে। তবে এই ফতোয়া কার্যকরে কাউকে বাধ্য করা যাবে না।