ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের আওতাধীন বিভিন্ন আদালতের কার্যক্রম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।
মঙ্গলবার সারপ্রাইজ ভিজিটে তিনি ঢাকা জেলা জজের অধীনস্থ বিভিন্ন আদালতের এজলাস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের অংশ হিসাবে প্রধান বিচারপতি বিচারকদের পাশে বসে বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা ছাড়াও বিচারক ও আইনজীবীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
ওই সময় প্রধান বিচারপতি কয়েকটি আদালতের বিচারকদের কাছে দীর্ঘ বিরতিতে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করার এবং দৈনিক কার্য তালিকায় মামলার তারিখ এত কম থাকার কারণ জানতে চান।
এছাড়াও প্রধান বিচারপতি বিচারকদের কাছে মামলায় কম সংখ্যক সাক্ষিদের আদালতে আসার কারণ জানতে চান। মামলা পরিচালনার বিভিন্ন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করা প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর নিম্ন আদালতের বিচারকরা দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
পরিদর্শনকালে কয়েকটি আদালতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি এজলাসে কোন বিচারককে দেখতে পাননি। আবার কয়েকটিতে গিয়ে আইনজীবী শুন্য আদালতে বিচারককে এজলাসের চেয়ারে বসে থাকতে দেখেছেন। পরিদর্শন শেষে ফেরার আগে তিনি বিচারকদেরকে বিভন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে আদালতে দৈনন্দিন কার্য তালিকায় মামলার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতি হয়েছি। আইনজীবীরা আদালতকে সহোযোগিতা করেন। আপনাদের সহোযোগিতা ছাড়া ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। মামলা দ্রুত নিস্পতি করতে আপনাদের সহোযোগিতা থাকতে হবে। বিচারকদের কাছ থেকে আপনাদেরকে মক্কেলের জন্য ন্যায়বিচার আদায় করে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই গরিব দেশে আদালত ও বিচারকের সংখ্যা যা আছে তাই নিয়ে ভাল ভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হবে।’ ফৌজদারি মামলায় আদালতে সাক্ষি উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যথাযথভাবে সাক্ষিদের প্রতি সমন বা ওয়ারেন্ট পাওয়ার পরও আদালতে সাক্ষি উপস্থাপনে ব্যর্থ পুলিশের জবাবদিহিতা সংশ্লিষ্ট বিচারককেই নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম।