বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ জিয়ার মাজার যদি কোনোক্রমে জিয়া উদ্যান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে বুকের রক্ত দিয়ে হলেও তা রক্ষা করা হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরামের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘সরকার এই হটকারী সিদ্ধান্ত নিলে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। যেভাবেই হোক এদেশের মানুষ তা প্রতিরোধ করবে।’
রাজপথের বিরোধী দলের উপর সরকারের নির্যাতন থামেনি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘গত তিনমাসে বিএনপির ৩০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬৫ জন গুম হয়েছেন, শুধু তাই নয়, ঢাকার মধ্যেই নিখোঁজ হয়েছেন ২৪ জন নেতাকর্মী।’
এ সময় নির্যাতিত কর্মী ও ছাত্র নেতাদের প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবেও বলে জানান তিনি।
বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হবে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপির আন্দোলন শতভাগ সফল হয়েছে মন্তব্য করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিয়েছে। আর সে জন্যই মাত্র ৫ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে এসেছে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে জনগণের দাবিকে সম্মান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন।’
সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাবির সাবেক উপাচার্য খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, সাবেক এমপি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতারা।