চট্টগ্রাম মহানগরীর মোহরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে জাসদের কার্যকরী সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মইনউদ্দিন খান বাদলের আত্মীয় পরিচয়দানকারী এক যুবলীগ কর্মী মিজানুর রহমান বাপ্পীকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা।
জনতার রোষানল থেকে তাদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। তবে গণপিটুনির শিকার বাপ্পীসহ তার দুই সহযোগীকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা কাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ আব্দুর রউফ দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার গণপিটুনি থেকে মিজানুর রহমান বাপ্পীসহ তার দুই সহযোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর চান্দগাঁও থানার কাজীরহাটে মিজানুর রহমান বাপ্পী নামে এক যুবলীগ কর্মী সাহাবউদ্দিন নামে এক মুদি দোকানদারের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। এ নিয়ে চাঁদ রাতের দিন দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। পরে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মঙ্গলবার সকালে ওই দোকানদার ও তার ভাইকে কাজীরহাটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আটকে রাখেন বাপ্পী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনতা উত্তেজিত হয়ে বাপ্পীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে তাদের উদ্ধার করতে পুলিশ এলে উত্তেজিত জনতা নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপকজ্যোতি খীসার গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পুলিশের বাধার মাঝেও কাজীরহাটে বাপ্পীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা দোকানদার সাহাবউদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে বের করে আনে। পরে জনতা পুলিশের সামনেই বাপ্পীসহ তিনজনকে ব্যাপক গণপিটুনি দেয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গণপিটুনির শিকার মিজানুর রহমান বাপ্পী মোহরা বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় সাংসদ বাদলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ তার রাজনৈতিক কর্মসূচিও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন বাপ্পী।