ডেনমার্কের সিল্কবর্গ প্রদেশের এক জলাভূমি থেকে খোঁজ মিলেছে লৌহ যুগের এক সমাধি। সমাধি বললে ভুল হবে এ যেন আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে চাপা পড়া আরেক পম্পেই।
জলাভূমির কাছে স্থানীয় দুই বালক মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে সন্ধান পায় কালো কুচকুচে এক মূর্তির। প্রথম দর্শনে এটাকে মূর্তি মনে হলেও আসরে তা নয়। এ হলো এক মানুষের জীবাস্মমূর্তি।
মানবদেহটি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩৭৫ থেকে ২১০ বছর আগের। সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এটি। শরীরের কোনও অংশে পচন ধরেনি।
লৌহ যুগের এমন নিদর্শন পেয়ে অবাক হচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। দেহটির মাথায় ভেড়ার চামড়ার টুপি, মুখে হাল্কা দাড়ি, শক্ত চোয়াল। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো। দড়িটি হাতে বানানো।
তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা বিস্মিত হচ্ছেন এতোদিন এভাবে অক্ষত অবস্থায় মানবদেহটি কীভাবে সংরক্ষিত থাকলো।
এর ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই জলাভূমির আশপাশে একটা আশ্চর্য রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে। জলাভূমির মাটির ভেতর অক্সিজেনের অভাব, তাপমাত্রা খুবই কম এবং অ্যাসিডিক পরিবেশের জন্য সেখাকে ব্যাকটেরিয়ার বাস নেই। একারণে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চির দেহটি এখনও অক্ষত আছে।
তবে টোল্যান্ড ম্যান নামে পরিচিত এই মানুষটি খুন অথবা অপরাধী হওয়ার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হননি। তিনি ঈশ্বরের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।