বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এলকে সিদ্দিকী ছিলেন সৎ, সুশিক্ষিত, নিষ্ঠাবান ও নির্লোভ একজন মানুষ। তিনি রাজনীতি, সমাজসেবা ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনকালে সব লোভ লালসার ঊর্ধ্বে ওঠে কাজ করেছেন। যেটি আমাদের সমাজে বর্তমানে বিরল।’
সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এলকে সিদ্দিকী এতবড় মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন যে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠে স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন, যা রাজনীতিবিদদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’
আমীর খসরু আরো বলেন, ‘এলকে সিদ্দিকী ছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারক ও বাহক। তিনি আমৃত্যু জাতীয়তাবাদী দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। তিনি সামাজিক অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামের অনেক উল্লেখযোগ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তার হাতে গড়া, যার থেকে চট্টগ্রামের মানুষ এখনো উপকৃত হচ্ছে।’
স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী এফসিএ বলেন, ‘এ মহান ব্যক্তি বিভিন্ন পদে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তার কাছে কোনো অন্যায় আবদার নিয়ে নিয়ম বহির্ভূত কাজ কেউ আদায় করতে পারেনি। তার ফলে সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়নি। সীতাকুণ্ডবাসীসহ চট্টগ্রামবাসী মরহুম এলকে সিদ্দিকীর অবদান চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মহৎ, সৎ ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষ এলকে সিদ্দিকীকে চিরকাল স্মরণ রাখবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করে গেছেন।’
স্মরণসভায় মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, মরহুম এলকে সিদ্দিকীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার আফফান আহম্মেদ সিদ্দিকী, মেজো ছেলে স্থপতি আকসিন আহম্মেদ সিদ্দিকী ও ছোট প্রকৌশলী এইলান আহম্মেদ সিদ্দিকী আলোচনায় অংশ নেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তফজল আহম্মেদের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বয়াক জহরুল আলম জহুর ও পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর সামশুল আলম আজাদের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা ইসহাক কাদের চৌধুরী, জাকের হোসেন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, ইউনুস চৌধুরী, ইউসুফ নিজামী, কামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ সভাপতি মনজুর আলম, উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি কাজি সালাহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোলেমান মনজু, মহানগর ছাত্রদল নেতা এইচ এম রাশেদ খান, সীতাকুণ্ড বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন দুলাল, আবুল বশর ভূঁইঞা, এমাম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী মহিউদ্দিন, সালেহ আহম্মদ সলু, আ ফ ম মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান, শ্রীমত স্বামী, সজলন্দী গিরি মহারত, অ্যাডভোকেট রওশন আরা, অ্যাডভোকেট নাসিম আক্তার, মোরসালিন, ফজল করিম চৌধুরী, সাহাবুদ্দিন রাজু, গোলাম সরওয়ার, আওরঙ্গজেব মোস্তফা, সেলিম উদ্দিন কমিশনার, আবু সিদ্দিক বাবলা, মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহিন পারভেজসহ প্রমুখ নেতারা।