ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাকে ও নুরুল কবিরকে চ্যানেল আই’র টকশোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে,অন্য কোন চ্যানেলও আমাদের ডাকবে বলে মনে হয় না।
ওদের তো সাহস নেই আমাকে আর নুরুল কবির শাহীনকে ডাকার। এভাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরও সম্প্রসারিত হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার সকালে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘নিয়ন্ত্রণমূলক সম্প্রচার নীতিমালা জনগণ মানবে না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে বর্তমান সরকার। মিথ্যা বলার কারণই এ সরকার অনির্বাচিত সরকার। যখন জিএসপি বাতিল হলো তখন সরকার বললো ‘এর পেছন ড. ইউনূস দায়ী।’
রানা প্লাজা ধসে পড়ল সরকার বলল ‘বিএনপি পিলার ধরে টানাটানি করেছে, ‘পদ্মাসেতুর টাকা বাতিল হলো ড. ইউনূস দায়ী।’ এ রকম হাজার হাজার প্রমাণ দিতে পারব। তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালায় অসংখ্য অস্পষ্টতা আছে। নীতিমালায় বলা আছে বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। বন্ধু রাষ্ট্রের সংজ্ঞা কি? তাহলে আমরা কি তিস্তার কথা বলতে পারব না? ফেলানী, বাংলাদেশে ভারতীয়দের অবৈধ চাকরির কথা কি আমরা বলতে পারব না? এ সব বক্তব্য কি দেশবিরোধী।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে অনবরত মিথ্যা বলছে সরকার। মিথ্যাবাদী সরকার জনগণকে অসত্য তথ্য দিচ্ছে। অবৈধ সরকারের কোনো অধিকার নেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের নীতি তৈরি করার।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মো. জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আশরাফ কায়সার, আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার, ঢাবি অধ্যাপক ড. সি আর আব্রার প্রমুখ।