ভয়ংকর প্রানঘাতী ইবিওলা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সাহসিকতার সাথে বিশ্বমানবতার সেবায় ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইবিওলা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কর্মরত সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ের সরকার। কেবল জিম্বাবুয়ে নয়, শান্তি মিশনে কর্মরত ইন্ডিয়ার সেনা সদস্যরাও বিশেষ সতর্কবস্থায় আছে। এমনকি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জারি করেছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
সম্প্রতি আন্ত:বাহিনী সংযোগ দপ্তর থেকে জানান হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কোনো সদস্য এখনো এ ভাইরাস আক্রমণের শিকার হননি। সেনাসদস্যরা সবাই সুস্থ আছেন। সকল পর্যায়ে ইবিওলা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জাতিসংঘ সর্বোচ্চ পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগও রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এদিকে বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী ইবিওলা ভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। ইবিওলা ভাইরাস বিষয়ে সবোর্চ্চ সতর্কতাও জারী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটস্থ প্রতিবেশী দেশ ভারতও ইবিওলা ভাইরাসের মারাত্নক ঝুঁকিতে রয়েছে। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো।
এমতাবস্থায় লাইবেরিয়ায় কর্মরত তাদের সকল শান্তিরক্ষী সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে গত বুধবার এ ঘোষণা দেন। জিম্বাবুয়ের হারারেতে এক সম্মেলেন লাইবেরিয়া থেকে তাদের সেনা বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মুগাবে। এ্ বিষেয় রবার্ট মুগাবে বলেন, লাইবেরিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে মারাত্মক ইবিওলা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকিগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে। এই বিবেচনায় আমরা সাময়িকভাবে লাইবেরিয়া থেকে আমাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কিন্তু ইবিওলা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব শান্তিরক্ষা থেকে পিছিপা হচ্ছে না বাংলাদেশ। বরং জিম্বাবুয়েসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন তাদের সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঠিক তখনই বেশ সফলতার সাথেই ইবিওলার ঝুঁকি মুক্ত থেকে সাহসিকতার সাথে শান্তিরক্ষার কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা।