বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে আসার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি বোরকা পড়ে পাশের দেশে পালাতে চেয়েছিলেন। জিয়াকে হত্যা ও তার দলকে উৎখাত করার পর তিনি উল্লাস করেন। এরশাদ ক্ষমতা দখল করার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আই অ্যাম নট আনহ্যাপি। এসব দেখে জনগণের মনে প্রবল সন্দেহ, তিনি জিয়া হত্যার সাথে জড়িত।’এরশাদ এবং হাসিনা দুজনই জিয়া হত্যা পরবর্তিতে বেনিফিসিয়ারী হওয়ায় তাদেরকে সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখা যাচ্ছেনা।
রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জিয়াকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মতো এবারো মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। তার বক্তব্য দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার। কারণ দেশের জনগণ এটাও জানে জিয়াউর রহমান হত্যার দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে কেন যেতে চেয়েছিলেন।’
অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা তাদের মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে লাগামহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জিয়া ও খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিজের মন্ত্রিত্ব রক্ষা এবং প্রধানমন্ত্রীর কৃপা লাভের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডের পর তার উচিৎ ছিল মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয়া। কিন্তু তিনি তা না করে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
রিজভী জানান, ১৯ আগস্ট সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে ২০ দলের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে একই ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশে যদি ন্যুনতম গণতন্ত্র থাকে তাহলে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।’
২০ দলীয় জোটের উদ্যেগে কালোপতাকা মিছিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের মধ্যে গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই।’
এসময় রিজভী দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে কালোপতাকা মিছিল সফল করার জন্য বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।