দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আপন ভাগ্নে এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জনাব মমিনূর রহমানের দির্ঘদিনের চলমান কানাডা ইমিগ্রেশন মামলাটির রায় গত ১৯শে আগস্ট'১৪ সালে প্রদান করা হয়।
এই রায়ে জনাব মমিনূর রহমানের ২০০৮ সালে কৃত রিফিউজি স্ট্যাটাস আবেদনের উপর দীর্ঘ ৬ বছরের শুনানির পর কানাডা রিফিউজি আদালত তার পক্ষে রায় দিয়ে,তাকে আন্তর্জাতিক রিফিউজি হিসাবে স্বীকৃতিদান করতঃ জনাব মমিনূর রহমানকে কানাডায় বসবাসের পূর্ন অনুমতি প্রদান করেন।
এই চান্চল্যকর মামলায় জনাব মমিনূর রহমানের আইনজীবি হিসাবে লড়েন বাংলাদেশের 'আইন-আদালত ' টিভি অনুষ্ঠান খ্যাত বিশিস্ট আইনজীবি ব্যারিস্টার রেজাউর রহমান।
মামলার বিবরনে জানা যায়,২০০৮ থেকে অদ্যাবধী সরকার পক্ষ মোট ৪১ বার শুনানীর তারিখ পূনঃনির্ধারন করে এবং সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে জনাব রহমানের রিফিউজি আবেদনটি গ্রহন না করে ,তাকে অবিলম্বে দেশে প্ররনের সুপারিশ করে আসছিলো।
এক্ষেত্রে কানাডা সরকার পক্ষ বাংলাদেশে চলমান জিয়া অরফানেজ ট্যাস্টের অর্থ অপব্যাবহারের মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে তাকে একজন চরম দূর্নীতিপরায়ন ব্যাক্তি প্রমানের সর্বাত্বক চেষ্টা চালায়।
এব্যাপারে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী গন বলেন, দেশে বিদেশে জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি বিনাশের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলের সজাগ থাকা প্রয়োজন।
জনাব মোমিনূর রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আনিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট অরথ অপব্যারের মামলাটি পর্যালোচনা করে কানাডার কোর্ট, বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এই মামলাটির বিভিন্ন গুরুতর ভূলগুলো তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ দন্ড-বীধির যে ধারা ৪০৯ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো তাও সঠিক হয়নি বলে প্রমান উপস্থাপন করেন।
সকল সাক্ষ্য -প্রমান বিবেচনা করে কানাডার রিফিউজি আদালত জনাব মমিনূর রহমানের অনূকূলে এই রায় প্রদান করেন।
আদালত এই রায় প্রদান কালে বাংলাদেশের জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি একটি ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জনাব তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোও রয়েছেন।