সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় শীঘ্রই চার্জশিট দেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে দুদক কার্যালয়ে মোরশেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। জিজ্ঞা
সাবাদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মোরশেদ খান ১১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩২১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যা তিনি তার আয়কর নথিতে গোপন করেছেন। আশা করছি, চার্জশিট দিতে বেশি সময় লাগবে না।
দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বাদী হয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি ভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ মার্কিন ডলার এবং ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ হংকং ডলার মিলিয়ে মোট ৩২১ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। তাকে দুদকে তলব করা হয়েছিল। তিনি না এসে, ৩০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে ৩০ দিন নয়, দুদক আইনে যতটুকু সময় দেয়া যায়, ততটুকু দেয়া হবে। এর আগেও তাকে তলব করা হয়েছিল। তিনি আসেননি। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাকে আইন মেনেই চলতে হবে।
রাজনৈতিক হয়রানি করতেই মামলা করছে দুদক, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. বদিউজ্জামান বলেন, দুদক কখনোই রাজনৈতিক হয়রানি করতে মামলা করে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা করা হয়। অভিযোগ মিথ্যা হলে, আদালতে গিয়ে তাদের সত্যতা প্রমাণের সুযোগ আছে। এ জন্য তাদের উচিত মামলার তদন্ত কাজে সহযোগিতা করা। কিন্তু তারা তা করছেন না।