বরিশাল ও রংপুরে বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম ও সিলেটে দরিদ্রের হার সবচেয়ে কম।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক দরিদ্রতার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
এই তালিকায় দেখা যায়, বরিশালের অধিকাংশ জেলাতেই ৩৫ ভাগ কিংবা এর চেয়েও বেশি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। তবে বরিশালের বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলা, ঝালকাঠিতে দরিদ্রতার হার কিছুটা কম। এই জেলাগুলোতে ১৬ থেকে ২৪ ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।
রংপুর বিভাগে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলায় দরিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশি প্রকট। এই জেলাগুলোর ৩৫ ভাগ বা তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ চরম দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন। তবে এই বিভাগের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলমনিরহাট জেলার দরিদ্রতার হার তুলনামূলকভাবে কম।
রাজশাহী বিভাগে নওগা, বগুড়া জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো। এই জেলাগুলোতে মাত্র ছয়ভাগ মানুষ দরিদ্র দীমার নিচে বসবাস করছেন। কখনও কখনও এই হার ছয়ভাগেরও কম। সামগ্রিকভাবেই রাজশাহী বিভাগে দারিদ্রতার হার কম। তবে এই বিভাগের গোদাগাড়ী, শাহজাদপুর জেলায় দরিদ্রতার হার ৩৫ ভাগ বা তার চেয়েও বেশি।
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলায় দরিদ্রতার হার সবচেয়ে কম। এই অঞ্চলের ছয় ভাগ, ক্ষেত্র বিশেষে এর চেয়েও কম মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দরিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশি।
খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল জেলায় দরিদ্রতার হার সবচেয়ে কম। মাগুরা, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় দারিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশি। এই জেলাগুলোয় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এই মানুষের পরিমাণ ৩৫ ভাগ বা তার চেয়েও কম।
বরিশাল বিভাগের খোদ বরিশাল জেলাতেই ৩৫ ভাগ বা তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২৪ থেকে ৩৫ ভাগ। কিন্তু তুলনামূলকভাবে বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় দরিদ্রের হার তুলনামূলকভাবে কম। সিলেট বিভাগের প্রায় সব জেলাতেই উন্নয়ন ঘটেছে সুষমভাবে।