দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭ম কারামুক্তি দিবসে "" দেশনেত্রীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে নিচের লিখাটি "" একজন দৃঢ় চিত্তের সহধর্মিনী "" একজন পরম মমতাময়ী মা "" ও একজন আপোষহীন নেত্রীর সংগ্রামী জীবন "''
ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৬ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। বেগম জিয়ার পিতামহ হাজী সালামত আলী, মাতামহ জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। বেগম জিয়ার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম।বেগম জিয়ার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বেগম জিয়ার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১ম ভাইস-চেয়ারম্যান । বেগম জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো একজন ব্যবসায়ী। এছাড়া আরাফাত রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।'
একজন দৃঢ় চিত্তের সহধর্মিনী """""""
==============================
দিনাজপুর শহরের মুদিপারায় বসবাসরত অবস্থায় ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন """ জিয়াউর রহমান তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডি এফ আই এর অফিসার হিসাবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে খালেদা জিয়া স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমানে পাকিস্তান)যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর সাথে ছিলেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। কিছুদিন জয়দেবপুর থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর পোস্টিং হলে তার সঙ্গে সেখানে এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর একালায় বসবাস করেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরলে শহীদ জিয়াউর রহমান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন দেশনেত্রী তখন ও দৃঢ় চিত্তে শহীদ জিয়া কে সঙ্গ দিয়ে যান """
এরপরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে জিয়াউর রহমান দেশের শাসন বার হাতে পেয়ে বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশের আনাচে কানাচে যখন ঘুরে বেড়িয়েছেন তখন ও দেশনেত্রী কোন অভিযোগ না করে প্রেসিডেন্ট জিয়া কে সঙ্গ দিয়ে যান """
একজন পরম মমতাময়ী মা """"
বেগম খালেদা জিয়ার দুই ছেলে বড় ছেলের নাম তারেক রহমান ডাক নাম পিনু "" ছোট ছেলের নাম আরাফাত রহমান ডাক নাম কোকো """ দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১ম ভাইস-চেয়ারম্যান । তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো একজন ব্যবসায়ী। এছাড়া আরাফাত রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।' জন্মের পর থেকে দুই ছেলে কে পরম মমতায় আগলে রাখেন বেগম জিয়া প্রথমে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এরপরে শহীদ জিয়া প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর "" সর্বশেষ এক ব্যার্থ সেনা অভুর্থানে ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণের পর থেকে আজ অবধি """"
একজন আপোষহীন নেত্রীর সংগ্রামী জীবন """"
১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভুত্থ্যানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মিদের আহ্ববানে তিনি ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলতঃ বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।
১৯৮৩ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। বেগম জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাত দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনের দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে।
কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙ্গে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচ দলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখান করে।
১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া "এরশাদ হটাও" এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙ্গে দেন। পুনরায় শুরু হয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর একটানা নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ও বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।
এছাড়া ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে আরো দুইবার বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন """""
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে কেটেছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ""
১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট চার বার তিনি গ্রেফতার হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হন।
সর্বশেষ তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দূর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ গ্রেফতার হন।[৩]২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন মামলারই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজো গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য লড়াই করে চলেছেন আর এইবার স্বৈরাচার এরশাদের ভূমিকায় ৮৬ সালের বেঈমান হাসিনা "" ইনশা-আল্লাহ এবার ও বেগম জিয়া দেশের জনগণ কে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন এবং বিজয়ের হাসি হাসবেন ""
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘজীবী হউক """"
শহীদ জিয়া অমর হউক """