গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করছে তা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নয়। একারণেই তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দ্বিধান্বিত। এভাবেই জামায়াতকে তারা পুনর্বাসন করতে চায়।’
প্রহসনের রায় ও গণজাগরণ মঞ্চে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আপসকারীদের প্রতিরোধের ডাক দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। সন্ধ্যায় সমাবেশ পরবর্তী মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। তখন শাহবাগ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে একই স্থানে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আপিল বিভাগের দেয়া সাঈদীর রায়কে আওয়ামী লীগ সাদরে গ্রহণ করেছে। এখানে ভিকটিম পরিবারের কথা মনে রাখা হয়নি। মনে রাখা হয়েছে রাজনীতির কথা। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলুক তা সরকার চায় না। এজন্য গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে আপিল বিভাগে গিয়ে রায় পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন তা হতে দেয়া হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ব্লগার আরিফ জেবতিক, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর আহ্বায়ক ফয়সাল ফারুখ অভি, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মিছিল করতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানেই মঞ্চের কর্মীরা বসে পড়েন এবং স্লোগান চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাগরণ মঞ্চের নেতারা উভয়পক্ষকে শান্ত করেন।