প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় ও ঠিকমতো বর্জ্য অপসারণ না করায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান বস্তিতে পর্যবসিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও গুলশান সোসাইটির সভাপতি ড. এটি এম শামসুল হুদা।
শুক্রবার সকালে গুলশান লেক পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এ সিইসি বলেন, ‘প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় ও ঠিকমতো বর্জ্য অপসারণ না করায় গুলশান এলাকা বস্তিতে পর্যবসিত হচ্ছে। রাস্তার ধারে, পার্কের পাশে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন বর্জ্য। এ বর্জ্যের দুর্গন্ধ এক মাইল দূর থেকে পাওয়া যায়। এতে গুলশানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর পার হয়, কিন্তু ডিসিসি নির্বাচন হয় না। আবার আইনের কারণে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক তিন মাস পর পর পরিবর্তন হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেখা যায়, কিছুদিন আগে একজন প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে আসলাম। আবার কিছুদিন পর গিয়ে দেখা যায় অন্যজন। তখন তাকে আবার নতুন করে সবকিছু বোঝাতে হয়।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘লেকের কচুরিপনা পরিষ্কার করার জন্য প্রায় সাত ধরে ঘুরছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই নিজেরাই পরিষ্কার করতে নেমে পড়লাম।’
জনপ্রতিনিধি থাকলে এসব সমস্যার সমাধান হতো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুটা কম হতো। তবে তাদের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।’
সাবেক সিইসি আরো বলেন, ‘গুলশান সোসাইটি প্রতিষ্টা করা হয়েছে গুলবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য। আমরা সেটি অব্যাহত রাখবো।’
এসময় গুলশান লেকে স্যুয়ারেজ সিস্টেম চালু করার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে গুলশানের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ওয়াসার দৃষ্টি আর্কষণ করেন।