ক্যাম্পাসে ডেকে এনে কেন্দ্রীয় এক নেতাকে মারধর করে মোটরসাইকেল, টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মাহমুদুল আসাদ (রাসেল) জানান, তাকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানান জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম। সে অনুযায়ী তিনি এলে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল ইসলাম শিশির তাকে বলেন, ‘ভাই বসেন, চা খান। আমরা একটু পরে আসছি।’ এই বলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা দলবল নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে সিরাজের কর্মীরা তার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা, আইফোন, এফজেড হোন্ডাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এরপর কোতোয়ালি থানায় আশ্রয় নেন। পুলিশ তার অবস্থা দেখে পুলিশ ভ্যানে করে মিটফোর্ড হাসাপাতালে নিয়ে যায়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।
আহত অবস্থায় রাসেলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফজলুল করিম।
রাসেল দাবি করেন, সিরাজ ও শিশিরের নেতৃত্বে জবি সহসভাপতি হিমেলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, শামীম, কর্মী শাওন, তুহিন, সবুজ, রাজসহ আরো অনেকে তাকে মারধর করে ওইসব মালামাল ছিনতাই করেছে।
তবে সিরাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কই এরকম ঘটনাতো জানি না। আপনি কোথায় শুনেছেন। আমি জানি না।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘ও, রাসেলের ভাই তো আমার কাছে এসেছে। তার সঙ্গে কথা বলছি। আপনি ফোন রাখেন পরে কথা বলবো।’
অন্য সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি একেক জনকে একেক কথা বলছেন।
হামলার শিকার রাসেলের বড় ভাই মাহফিজুল ইজাজ মিয়া রানা বলেন, ‘এই মুহূর্তে ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এদের মতো ছাত্রনেতা নামধারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি হওয়ার দরকার। আমি আমার ভাইয়ের ওপার হামলাকারীদের বিচার চাই।’
তিনি জানান, ছিনতাই হোন্ডাটি উদ্ধার করা গেছে। তবে সেটির অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক কিছুই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তিনি এখন কোতোয়ালি থানায় অবস্থান করছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।