সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল, আওয়ামী লীগ একটি ছিনতাইকারী দল।
আজ শনিবার বিকালে জামালপুরের জনসভায় তিনি সাম্প্রতিক বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো তুলে ধরে এ কথা বলেন।
সন্ত্রাস দমনে গঠিত র্যাবকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে দাবি করে এই বাহিনী বিলুপ্ত করার দাবিও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। জনগণ সেই নির্বাচনে যাদের পছন্দ তাদেরকে নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন, দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হয়। আমরা এতে কোনো আপত্তি করিনি, এটা আমরাও মানি মানি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার বিগত কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোটচুরি করেছে। তাই এই সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, তখন আমরা একসাথে স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছি। তখন আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম, কেউ এরশাদের নির্বাচনে যাব না। হাসিনা তখন বলেছিলেন, কেউ যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে তারা হবে জাতীয় বেঈমান। কিন্তু আওয়ামী লীগই সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো।
ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকাল ৪টার দিকে জনসভাস্থল জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। মঞ্চের উঠলে দলের নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে তাদের নেত্রীকে স্বাগত জানায়।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার দেশে বাকশাল কায়েম করতে চায়। ১৯৭৫ সালে তারা সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আজকেও সরকার সেই কাজ করছে। তারা সম্প্রচার নীতিমালার নামে বিরোধী দলের সংবাদ প্রচার বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।
বিএনপির জামালপুর জেলা সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে জনসভায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। শেরপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও এসেছেন অনেক।
৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর রাজধানীর বাইরে এটা খালেদা জিয়ার চতুর্থ জনসভা। সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।