সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার ভোল্টের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চুরি হওয়া টাকার পরিমাণ বেশি। আর ওই টাকার কোনো ইন্স্যুরেন্সও ছিল না। এমনকি দেশের কোনো ব্যাংকের ভোল্টে রাখা টাকার ইন্সুরেন্সের তথ্য নেই।
বুধবার সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার ভোল্টের অনুমোদিত ধারণ ক্ষমতা ২০ কোটি টাকা। আর ওই শাখা থেকে টাকা চুরির দিন রক্ষিত টাকার পরিমাণ ছিল ২৪৪ কোটি ১০ লাখ, ২৯ হাজার ৯৫০ টাকা ৩০ পয়সা।’
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টিকারী শক্তিকে অর্থায়ন করা সংক্রান্ত্র কোনো অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরে নেই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারী নিয়ে শেখ মো. নুরুল হকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দুদক দেয়া অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। হলমার্ক গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ১২ জন এবং ব্যাংকের ১৩ জন কর্মকর্তাকের আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলো বর্তমানে মহানগর বিশেষ আদালতে বিচারাধীন। মামলায় হলমার্কের ৩ জন এবং সোনালী ব্যাংকের ২৪ জন কর্মকর্তা আটক হয়ে কারাগারে আছেন।’
অর্থমন্ত্রী জানান, হলমার্ক গ্রুপ থেকে এ পর্যন্ত ৪১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। অবশিষ্ট আদায়ের লক্ষ্যে অর্থঋণ আদালতসহ দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মামলা দায়েরে আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া হলমার্ক গ্রুপের দায়ের করা মামলার বিপরীতে এ পর্যন্ত মোট ৬১১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ জমি বন্ধকী করা হয়েছে। যার মূল্য ৩৮৯ কোটি ৫৪ হাজার টাকা। এছাড়া বন্ধকের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তির পরিমাণ ৭৬২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। যার মূল্য ৭৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।