গতকাল এশিয়ান ট্রিবিউনে ড. হাবিব সিদ্দিকীর লেখা Letter from America : Indian Expats in Bangladesh নিবন্ধে পড়ুন বিস্তারিত। ভাষান্তর করেছেন সাবিদিন ইব্রাহিম;)
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে গিয়ে বিশ্বায়নের প্রকৃত রূপ দেখলাম। দেখলাম বাংলাদেশের বিখ্যাত সব বাড়ি নির্মাণ কোম্পানিগুলোতে কয়েকজন ভারতীয় প্রকৌশলীকে। আমার আরেক বন্ধু চট্টগ্রামে জাহাজ-নির্মাণ শিল্পে কাজ করছে এমন ভারতীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর আগে কয়েক বছরে আমি দেখেছি ভারতীয়রা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও এনজিওতে কাজ করছে। কিন্তু আমি জানতাম না কতজন ভারতীয় বাংলাদেশের ভেতর কাজ করছে এবং এরা যে খুব ভালোই উপার্জন করছে এটাও জানতাম না।
আপনি যদি আপনার মাতৃভূমি থেকে দূরে যান তাহলে দেখবেন যে কোনো দেশের কর্মশক্তিতে অনেক বিদেশি যুক্ত থাকে। এটা পৃথিবীর সব দেশের জন্যই সত্য। শুধু ব্যতিক্রম হচ্ছে মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া। বিশ্বের কিছু অংশে বিশেষ করে আরব উপসাগরের সমৃদ্ধশালী দেশগুলোতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চেয়ে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। এরকম একটি বৈশ্বিক চিত্র আমাদের বিস্মিত করা উচিত নয়। কারণ পৃথিবী এখন এমন বিশ্বায়নের শিকার হয়েছে, যা সমগ্র ইতিহাস একসঙ্গে করলেও বেশি হবে।
আসলে মানুষ এখন তা-ই করছে যা তাদের পূর্ব পুরুষরা শুরু করেছিল- সেই আদম-হাওয়া থেকে। মানুষ অসংখ্য কারণেই একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয়। এই গ্রহের প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ অর্থাত্ প্রতি সাতজনে একজন স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে। এক্ষেত্রে যে বিষয়টা কাজ করে সেটা হলো ভালো সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত জীবন যাপনের সন্ধান। এই দেশান্তরের
ঘটনায় জন্মভূমি এবং কর্মস্থলের দেশ দুটোরই উন্নয়নের ওপর প্রভাব পড়ে, দারিদ্র্য বিমোচন ঘটে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা পৃথিবীর সেরা মেধাগুলোকে তাদের নিজের দেশে নিয়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান বহুদূর। অধিকাংশ উদ্ভাবনের ব্যাপারই ঘটে এসব দেশান্তরী মানুষগুলোর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে এরা ওই দেশটির অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে।
জাতিসংঘের মতে, ২০১৩ সালে ২৩ কোটি মানুষ তার জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে বাস করছে। এটা বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে তারা তাদের মাতৃভূমিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠান। সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে- ভারত (৭১ বিলিয়ন), চীন (৬০ বিলিয়ন), ফিলিপাইন (২৬ বিলিয়ন), মেক্সিকো (২২ বিলিয়ন), নাইজেরিয়া (২১ বিলিয়ন), মিসর (২০ বিলিয়ন)। এ তালিকায় আরও আছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ইউক্রেন।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও এই রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়তেই থাকবে। ২০১৪ সালে মোট রেমিটেন্স প্রবাহ ৫৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৪৯ বিলিয়ন ডলারই যাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। ২০১৬ সালেই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়ে ৫৪০ বিলিয়ন ডলার হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেমিটেন্স সংগ্রহকারী দেশ। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১২ সালে ভারত ৬৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ করে।
আর যেটা বাংলাদেশীদের বিস্মিত করবে তা হলো বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতে পঞ্চম রেমিটেন্স সরবরাহকারী দেশ! অর্থাত্ ভারত যে দেশগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স সংগ্রহ করে থাকে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। সবচেয়ে রেমিটেন্স সরবরাহকারী ১৫টি দেশের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্যের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
১. সংযুক্ত আরব আমিরাত
আরব আমিরাতে কয়েক মিলিয়ন ভারতীয় অবস্থান করছে। তারা প্রধানত দুবাই, আবুধাবী ও শারজাহতে অবস্থান করে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভারতীয়রা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে আগ্রহী কারণ ওখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে তেল কোম্পানি, নির্মাণ ও অন্যান্য শিল্পে ভারতীয়রা কাজ করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৪.২৫৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ করেছে ভারত।
২. যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ১০.৮৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
৩. সৌদি আরব
১০ লাখেরও বেশি ভারতীয় সৌদি আরবে কাজ করেন। বছরে তারা ৭.৬২১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠান নিজ দেশে।
৪. যুক্তরাজ্য
প্রবাসী ভারতীয়রা যুক্তরাজ্য থেকে বছরে ৩.৯০৪ বিলিয়ন ডলার পাঠান তাদের নিজ দেশে।
৫. বাংলাদেশ
বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ভারতীয় অবস্থান করছে বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে। এরা ভারতে ৩৭১.৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। এটা আগামী কয়েক বছরে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘দি সিলিকন ইন্ডিয়া নিউজ’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যেসব ভারতীয়রা বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গ মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম থেকে আসা।
সরকারি তথ্যমতে, অধিকাংশই কাজের সন্ধানে আসে এবং তারা বেশিরভাগই কাজ করে এনজিও, গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল শিল্পে। এসব ভারতীয়রা তাদের নিজ দেশে ৩৭১.৬ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠায় এবং এ রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণটা আগামী কয়েক বছরে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তার মানে হচ্ছে, অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী এই অর্ধমিলিয়ন ভারতীয় তাদের নিজ দেশে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এটা খারাপ সংখ্যা নয়, ভারতের মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৫ শতাংশ যাচ্ছে এই ‘পুওর বাংলাদেশ’ (গরিব বাংলাদেশ) থেকে!
আমার শৈশব থেকেই বাংলাদেশের অনেক হিন্দুকে দেখেছি যারা ভারতের প্রতি অনুগত এবং তারা তাদের সম্পদ ও কষ্টে উপার্জিত অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে পাঠাচ্ছে যারা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং আসামে থাকে।
সে যাই হোক, বিশ্বব্যাংকের রেমিটেন্স নিয়ে বিবৃতি দেখার আগ পর্যন্ত আমার কোনো ধারণাই ছিল না যে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে। খুব অদ্ভুত ব্যাপার হলো- এই যে বছরের পর বছর ভারতীয় রাজনীতিবিদরা এই গালাগাল করে আসছে যে ‘গরিব বাংলাদেশীরা’ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে, ওখানে কাজ করছে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশে কাজের সুযোগ নেই। কিন্তু এটা খুব অবাস্তব চিত্রায়ন হবে। কারণ অধিকাংশ চাকরিতেই বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর চেয়ে বেশি মজুরি দেয়া হয়। তাছাড়া মানুষ প্রতিকূল পরিবেশে মাইগ্রেট করে না। আর যেখানে আগের জায়গা থেকে বেশি টাকা পাওয়া যাবে না সেখানে যাওয়ার কোনো কারণই থাকার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশে কতজন ভারতীয় অনুপ্রবেশ করছে সেটা সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানছি।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা বেশ আনন্দের সঙ্গে বাংলাদেশীদের উপর গুলি করছে। এমনকি নো ম্যানস ল্যান্ডেও গুলি করছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। এখন আমরা ভালোই বুঝতে পারছি কারা অনুপ্রবেশ করছে!
আমরা অনেকবারই দেখেছি নামে সেক্যুলার ভারত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসেক্যুলারের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তাদের রেকর্ড ভালো নয়। দাঙ্গা-হাঙ্গামা এই বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশটির নিয়মিত চিত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দাঙ্গা-হাঙ্গামার নেতৃত্ব দেয় আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেগুলো বিজেপির পিতৃ-মাতৃ সংগঠন। বিজেপি এর আগেও ক্ষমতায় ছিল এবং ২০১৪ সালে এরা ক্ষমতায় আসছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
গত বছর মোজাফফর নগরে আমরা ভারতের সংখ্যালঘু হত্যার ভয়ানক চিত্র দেখেছি। প্রায় ৪ ডজনের মতো মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার মুসলমান তাদের গ্রামে ফেরত যেতে ভয় পাচ্ছে। উত্তর প্রদেশে শুধু এক বছরেই ১০০টিরও বেশি দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে।
একটি তদন্তে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দাঙ্গাতেই বিজেপির হাত আছে। বিজেপির স্থানীয় নেতারা গ্রামগুলোতে ‘পঞ্চায়েত’ ও ‘মহা-পঞ্চায়েত’ আয়োজন করে এবং মুসলিম বিদ্বেষী কথাবার্তা ছড়ায়। ওই গ্রামগুলোর বিভিন্ন সভাতে দেখা গেছে, বিজেপির নেতাকর্মীরা নরেন্দ্র মোদির নামে স্লোগান দিচ্ছে এবং ‘গো-হত্যা’র জন্য মুসলিমদের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছে।
২০১২ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসাম প্রদেশে ৫০ জনেরও বেশি মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এ রকম হত্যাকাণ্ড বেড়ে যেতে পারে। কারণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে এ রকম দাঙ্গা রাজনীতিবিদদের ভোট ব্যাংকের হিসাব পরিবর্তন করে দেয়।
বাংলাদেশে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ এবং তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের কথা পৌঁছিয়ে দিতে ভারতীয় রাজনীতিবিদরা ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতিবিদদের এ খবরটি তাদের জনগণকে জানিয়ে রাখা উচিত। এই সত্য ছড়িয়ে দিলে সম্ভবত ভারতের ভেতরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা খানিকটা কমে যাবে।
পাঠকগনের সুবিধার্থে নীচে এশিয়ান ট্রিবিউনে প্রকাশিত মূল ইংরেজী প্রবন্ধটি দেয়া হলোঃ
Letter from America: Indian Expats in Bangladesh
A couple of years ago, during my visit to Bangladesh I got a glimpse of globalization inside Bangladesh when I met some Indian Engineers who were working for a reputable home building company.
A friend of mine later introduced me to some Indian engineers working for Bangladeshi ship-builders in Chittagong. Over the years I have also come across many Indians who were working for the international companies and NGOs. I did not know how many Indians were gainfully employed inside Bangladesh though.
If you have traveled outside your home country you must have noticed that in much of our world the workforce includes foreigners that are not part of the native community. And that is true for almost all countries except God-forsaken countries like Myanmar (former Burma that has epitomized the apartheid character) and North Korea. In some parts of the world, e.g., the rich Arab Gulf states, the foreign workers comprise the majority of the entire population. Such a global trend should not surprise us any more knowing that our world is becoming more connected and globalized than ever before in its entire history. And people are doing what their ancestors had done since the days of Adam and Eve – they are on the move for a plethora of reasons.
Nearly one billion people – that is, one out of every seven persons on the planet – have migrated internally and across international borders in search of better opportunities and living conditions, with profound implications for development, growth and poverty alleviation in both origin and destination countries. The more prosperous western countries, especially the USA and Canada, have been able to gravitate the best brains providing them opportunities in research and development that are absent in many developing and underdeveloped countries. Much of the innovations have come out of these immigrants energizing the economy in their adopted countries.
According to the United Nations, more than 230 million people are living outside their countries of birth in 2013. It is no surprise either that the expatriates are funneling billions of dollars into the countries that they came from.
According to World Bank's Migration and Remittances Brief, officially recorded remittances to developing countries are estimated at $414 billion in 2013, an increase of 6.3% over the previous year. Global remittance flows, including those to high-income countries, are expected to be $550 billion in 2013. The top recipients of officially recorded remittances are India ($71 billion), China ($60 billion), the Philippines ($26 billion), Mexico ($22 billion), Nigeria ($21 billion), and Egypt ($20 billion). Other large recipients include Pakistan, Bangladesh, Vietnam, and Ukraine. However, as a share of GDP, remittances were larger in smaller and lower income countries; top recipients relative to GDP were Tajikistan (48%), Kyrgyz Republic (31%), Nepal (25%), Lesotho (25%) and Moldova (24%).
Despite the current global economic weakness, remittance flows are expected to continue growing, with global remittances expected to reach $594 billion by 2014, of which $449 billion will flow to developing countries. The remittance to developing countries is projected to rise to $540 billion by 2016. It also noted that globally, migrants pay an average cost of 9% to send money home. Reducing the average remittance price to 5 percent, in line with G8 and G20 targets, could save migrants around $16 billion a year.
In recent years, India has been the largest recipient of remittances in the world. According to the World Bank, India received $69 billion in 2012. What may surprise most Bangladeshis is the little known fact that Bangladesh ranks fifth (behind the UAE, the USA, Saudi Arabia and the UK) among the top 15 countries from which India draws remittance from her expatriates (see the list below for top 8 countries).
1. UAE: There are millions of Indians staying in UAE and majority of them lives in cities like Dubai, Abu Dhabi and Sharjah. It is reported that most number of Indians are willing to go to UAE because of the different opportunities that are offered in the field of petroleum, construction and other industries. India received about $14.255 billion as remittance from United Arab Emirates.
2. USA: Indian expats who are working or settled in USA remit a whopping $10.844 billion to India.
3. Saudi Arabia: More than a million Indians work in the kingdom. Report shows that people who work in Saudi Arabia send $7.621 billion to their home as a remittance.
4. UK: Indian expats who stay in U.K send $3.904 billion to their home yearly.
5. Bangladesh: It is reported that there are Indians who are staying in Bangladesh and there are about 500,000 Indians presently residing. These Indians remit $3.716 billion to their home country and the number is expected to increase in next few years.
6. Canada: Indian expats who are staying in Canada send home as much as $3.145 billion.
7. Nepal: Indian expats who stay in Nepal remit $ 2.934 billion to their home country, India.
8. Oman: Report shows that Indian expats who stay in Oman remit $2.373 billion to India.
The Silicon India News reported that the Indians “who are migrating to Bangladesh illegally are from West Bengal, Meghalaya, Assam, Tripura and Mizoram. According to the government authorities of the country, most of them come in search of job opportunities and mostly work in NGOs, garments and textile industries. These Indians remit $3,716 million to their home country and the number is expected to increase in next few years." (15 Nations Sending Highest Remittances to India, 21 May, 2013) That is, approx. $4 billion is remitted by these half a million illegal Indians working inside Bangladesh. Not a bad number: more than 5% of total Indian remittance coming from ‘poor’ Bangladesh!
Since my childhood I have also known of many Bangladeshi Hindus whose loyalty was to India, and they have been money laundering their wealth and hard-earned income to the family members in West Bengal, Tripura, Meghalaya and Assam. However, until the publication of the World Bank brief on remittance I had no clue that billions of dollars are being remitted to India from Bangladesh.
Oddly, for years, Indian politicians have used the Bangladesh-card to paint a very slanted and damning portrait about the country stating that the ‘poor Bangladeshis’ are illegally crossing into India, taking up jobs, settling in India, etc., as if the poor Bangladeshis can’t find any job inside Bangladesh. That mythical characterization appeared too absurd to me knowing that pay-scale for most jobs inside Bangladesh is higher than offered in nearby states of India, let alone the fact that people simply don’t like to migrate to an unfriendly environment, which does not even pay well.
But little did we know about the humongous Indian influx into Bangladesh. The killing of innocent Bangladeshis along the border by the trigger-happy Indian Border Security Forces in the Bangladeshi soil and no-man’s-land is even presented by Indian authorities as a necessary ‘evil’ to stop those Bangladeshis trying to ‘infiltrate’ into India. Now we know better!
As I have noted several times, secular India has a very unsecular and unsavory record on protecting minority groups. Riots and mayhems are more like norms in this largest democracy – most often initiated and/or promoted by Hindu fanatics of RSS, Vishwa Hindu Parishad – that are parents of BJP – the party that ruled India and will probably come to power again in 2014. Muzaffarnagar last year saw her worst violence in which nearly four dozen Muslims were killed. Thousands of Muslims are afraid to return to their village. More than 100 riots happened in the Uttar Pradesh in just a year. A fact-finding mission found the hands of BJP everywhere. Its leaders have been active in organizing the panchayats and the mahapanchayats in the villages where hate speeches pushed the crowd to take revenge against the Muslims. Slogans against Muslims for killing cows mixed with slogans in support of Narendra Modi rent the air after the series of meetings and mahapanchayats in the villages.
In 2012 more than fifty Muslims were killed in Assam, which borders Bangladesh. The election time is usually a prime time to trigger such riots against Muslims who are used as vote banks by politicians.
If the Indian politicians fail to educate their electorates about Indian influx into Bangladesh and the remittance thereof the Bangladeshi politicians and the government owe it to their people to share the news. Probably the truth on this matter will lower the propensity of politically motivated anti-Muslim religious riots inside India.
– Asian Tribune –