একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কৃতকর্মের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সাংবাদিক হামিদ মীর এ দাবি করেছেন। তার ভাষ্য মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এ বিষয়ে বিল তোলা হবে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী তাকে এমন কথা জানিয়েছেন।
সোমবার একাত্তর টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য জানান।
পাকিস্তানের জিও নিউজের নির্বাহী সম্পাদক হামিদ মীর বরাবরই একাত্তরে পাকিস্তানের অবস্থানকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ জন্য পাকিস্তানকে একাধিকবার বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে হামিদ মীর বলেন, একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে পাকিস্তান। এ বিষয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বিল তোলা হবে। পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) নেতৃত্বাধীন সরকারের একাধিক মন্ত্রী তাকে এমন কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী অনেক সদস্যও বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচারের পক্ষে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও এ বিচারের পক্ষে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আবারো সরব হয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা কোনোভাবেই পাকিস্তান অবহেলা করতে পারে না। নিজামীর মতো জামায়াত নেতারা ১৯৭১ সালে কেবল পাকিস্তানের অখণ্ডতার জন্যই কাজ করেছেন। এর আগেও তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নিসার আলীর মন্তব্যের বিষয়ে হামিদ মীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (নিসার আলী) ব্যক্তিগত মন্তব্য, সরকারের কিংবা আনুষ্ঠানিক কোনো মত নয়।
হামিদ মীর দাবি করেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ও তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ মানবতাবিরোধী বিচারের পক্ষে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজও বিচারের পক্ষে।