ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভর্তিচ্ছুদের র্যাগিংয়ের নামে চলছে নির্যাতন। ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, পুরাতন শহীদ মিনার, ডায়ানা চত্বর, শহীদ মিনার চত্বর ও স্মৃতি সৌধ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা নতুন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন করছে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী।
অভিযোগ উঠেছে; তারা মেয়েদের দেখলেই তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কটূক্তি করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা বোরকা পড়া মেয়েদের বোরকা খুলতে বাধ্য করছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।গত দু’দিন থেকে মিজু গ্রুপের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, বিপুল, বিপ্লব, রিয়ন, তুষার, খাইরুল ইসলাম পলাশ ও অনিকসহ তারা সবসময় ওই জায়গায় আড্ডা দেয়। আর এসময় তারা আড্ডার ছলে বখাটেদের মত ওই জায়গা গুলোতে ভর্তিচ্ছু ছেলে ও মেয়েরা আসলেই তাদের র্যাগ দিয়ে বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও নির্যাতন করছে।
এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছুরা ভয়ে র্যাগারদের কিছুই বলতে পারছেন না। আবার পরিচিত কাউকে বললেও তারা হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
বরিশাল থেকে আসা রোকসান নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন- ‘আমি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট দিয়ে ঢোকার পরেই একটু সামনে (ডায়ানা চত্বর) আসার পরে কয়েকজন ছেলে আমাকে ডেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। এমনকি আমার সাথে কেউ না থাকায় তারা আমাকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছে।’
এদিকে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রংপুর থেকে আসা শাহীনুর রহমান নামের এক ছেলে অভিযোগ করে বলেন- আমি ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা দেয়ার জন্য সাদ্দাম হোসেন হলের মাঠের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে যাচ্ছিলাম। এসময় কয়েকজন ছেলে আমাকে ডেকে বিভিন্নভাবে র্যাগ দেয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে পুরো ক্যাম্পাসে এমনিতেই ঘোরায় ও শেষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। যার কারণে আমি ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ভালভাবে দিতে পারিনি।
এ ব্যাপারে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের পদ প্রত্যাশী এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “আমি ওদের বারবার নিষেধ করেছি। এমনকি চর থাপ্পরও মেরেছি। আমার কাছে ওরা আর এসব করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার পরেও যদি এসব কিছু করে তাহলে আমি ওদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।