এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনপ্রিয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি সিলেটে। আত্মগোপনে থেকেই তিনি স্বাক্ষর করছেন করপোরেশনের বিভিন্ন ফাইলপত্রে। সিসিকের আস্থাভাজন কর্মকর্তারা তার কাছে গিয়ে ফাইলপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন।
দুই-একদিনের মধ্যে মেয়র আরিফ সিলেট ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মগোপনে থেকে আরিফ আইনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সিলেটে ফেরার পর হবিগঞ্জে গিয়ে নিম্ন আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ওই চার্জশিটে আসামি হওয়ার পর থেকে মেয়র আরিফ আত্মগোপনে চলে যান।
সূত্র জানায়, কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরই মেয়র আরিফ ঢাকা চলে যান। সেখানে অবস্থান করে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েক আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনাও করেন; কিন্তু আগাম জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় আইনজীবীরা তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেন।
আইনজীবীদের পরামর্শে মেয়র আরিফ হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নিম্ন আদালত থেকে জামিন না পেলে উচ্চ আদালতে যাতে কম সময়ের মধ্যে জামিনের আবেদন করা যায় তার সব প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন তিনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর আদালত সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণের কথা রয়েছে। ওইদিন চার্জশিট গৃহিত হলে এরপর দুই-একদিনের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা ও চার্জশিট থেকে তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করবেন তিনি।
সূত্র আরও জানায়— আইনি পরামর্শ নিতে বৃহস্পতিবারও উচ্চ আদালতে যান আরিফ। সেখানে কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আদালত থেকে বের হয়ে পল্টনের একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি একটি মাইক্রোবাসে উঠে চলে যান।
সিসিকের একটি সূত্র জানায়— আত্মগোপনে থেকেই মেয়র আরিফ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। বেশিরভাগ সময় তার আস্থাভাজন কর্মকর্তারা ফাইল নিয়ে ঢাকায় গিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে এনেছেন। এর মধ্যে একবার তিনি মৌলভীবাজার এসেও ফাইলে স্বাক্ষর করেন।