৫ দিনের সফর শেষে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সাবেক রাষ্ট্রপতির এই সফর নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন উঠলেও তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সফর সম্পর্কে কিছুই জানেন না শীর্ষনেতারাও। পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে এরশাদ এখন থেকে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তার ৫ দিনের মালয়েশিয়া সফর নির্বাচনী কূটকৌশলের অংশ মাত্র। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখে মামলা-মোকাদ্দমা ও নিজের ভবিষ্যত্ আশঙ্কায় বিএনপির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির মিশন নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়া গেছেন বলেও গুঞ্জন ওঠে।
এ কারণে তিনি মালয়েশিয়া সফর নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইছেন না বলে জানা গেছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি শুক্রবার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় তাকে স্বাগত জানান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, এমএম হান্নান এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু. অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী প্রমুখ। মালয়েশিয়ায় এইচএম এরশাদের সফরসঙ্গী ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমান ও একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার।
সূত্র জানায়, মামলা-মোকাদ্দমা ও বিশেষ দূত নিয়ে সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। অবমূল্যায়নের জের ধরে ভবিষ্যতের আশঙ্কায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এখন থেকেই বিকল্প শক্তির খোঁজে হঠাত্ করে মালয়েশিয়া সফরে যান বলে তার দলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। সেখানে বিএনপির শীর্ষ মহলের সঙ্গেও তার দেখা-সাক্ষাত্ ও যোগাযোগের কথা ছিল।