DMCA.com Protection Status
title="৭

ভারতের বিতর্কিত গ্রুপ সাহারার ‘কালো’ টাকায় কেনো চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল???

101440_1এই শিরোনামে আজ একটি খবর দিয়েছে কলকাতার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

অনলাইনটি লিখেছে, ‘সাহারা ইন্ডিয়া’ থেকে ‘সাহারা বাংলাদেশ’৷ কালো টাকায় কেনা জার্সি ধোনিরা গা থেকে থেকে ঝেড়ে ফেলেছে৷ এখন সাহারার সেই জার্সি সাকিবদের গায়ে জ্বলজ্বল করছে৷ দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট দলের মূল স্পনসর ছিল ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ নামক ভারতের এক বিখ্যাত অর্থলগ্নী সংস্থা৷ এখন অবশ্য বিসিসিআই-এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই সাহারার৷ যদিও ভারতীয় হকি দলের সঙ্গে এখনও রয়েছে সাহারার গাঁটছড়া৷ যা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলেরও স্পনসর এই সাহারা৷ ২০১২ সালের মে মাসে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি হয় সাহারার৷ ৯.৪ মিলিয়ন ডলারে এই চুক্তি হয়েছিল৷ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাহারার স্পনসরশিপ নিয়েই এখন ভারতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

 

 

 

 

 

 

ভারতের কোম্পানী হিসাবে তাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হতেই পারে সাহারা গ্রুপ।যদিও এই গ্রুপের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ,ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের টাইটল স্পন্সর থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়।বাংলাদেশ কি মাত্র ১০মিলিয়ন ডলারের লোভে এই বিতর্কিত কোম্পানীর নাম বহন করে যাবে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে???


সম্প্রতি সারদা এবং বেশকিছু বেআইনী অর্থলগ্নী সংস্থা বা চিটফান্ড নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা ভারত জুড়ে৷ গরীব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযুক্ত এই সংস্থাগুলি৷ সিবিআই তদন্ত চলছে৷ গ্রেফতার হচ্ছেন সাংসদ, আমলা, শিল্পীসহ তাবড় রাজনৈতিক নেতারা৷ লোকসভা-রাজ্যসভায় তুমুল বিতর্ক হচ্ছে সাহার, সারদা নিয়ে৷ সেখানে নিজেদের ভাবমূতি অক্ষুন্ন রাখতে এখনই নৈতিকতার খাতিরে সাহারার সঙ্গে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা উচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এবং ভারতের হকি দলের৷সুব্রত রায়কে সুপ্রিম কোর্টের গ্রেফতারির পরই সাহারার অর্থকে ‘কালো’ টাকা বলা যেতে পারে৷ এখন সেই টাকায় কিনা একটা দেশের ক্রিকেট টিম চলছে৷ এটা ঠিক, সুপ্রিম কোর্টের গ্রেফতারির নির্দেশের আগেই সাহারার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের৷ কিন্তু সাহারা কর্তা গ্রেফতারের পর সেই চুক্তি বাতিল করা উচিত বলেই মনে করছে ভারতের ক্রীড়ামহল৷

সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার৷ যার সর্বময় কর্তা সুব্রত রায়৷ যিনি বর্তমানে জেলে৷ চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট সাহারা কর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশ পুলিশ সুব্রত রায়কে গ্রেফতার করে৷ ২৪ হাজার কোটি আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত সাহার ইন্ডিয়া পরিবার এবং তার মালিক সুব্রত রায়৷ ২০১০ সালে প্রথমবার সাহারার বেশ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল৷ এরপর সেবি তদন্ত শুরু করে৷ এবং শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হন সাহারা কর্তা৷ এরপর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় সাহারার বৈধতা নিয়ে৷

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!