রাজশাহী মহানগরীর সোনালী ব্যাংক কোর্ট শাখার সুড়ঙ্গ করে লুটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুড়ঙ্গ খোড়ার সময় স্থানীয়রা জানতে পারলে পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজে ব্যবহৃত খুনতি, বেলচা, দা, ছেনি, সাবল, হাতুড়ি, করাতসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী মহানগরীর সোনালী ব্যাংক কোর্ট শাখার ভবনটি রাস্তার পাশে হলেও প্রাচীর ঘেরা। সে কারণে সেখানে কি হচ্ছে পথচারীরা ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারেন না। ব্যাংকের ভল্ট (টাকা রাখার ঘরটি) সেখানেই অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পথচারীরা প্রাচীর ও ভল্ট ঘরের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে খোড়াখুড়ির শব্দ পান। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সেখানে টহল পুলিশকে জানায়।
পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজে লোকজন যন্ত্রপাতি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খোড়ার কাজে ব্যবহৃত খুনতি, বেলচা, দা, ছেনি, সাবল, হাতুড়ি, করাতসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে সংবাদ দেয়। ব্যাংকের ভল্ট ঘরের বাইরের দেয়ালে ২ ফিট পর্যন্ত খুড়তে পেরেছিল তারা।
আগামী দুইদিন ছুটি আছে। সেই চিন্তা করেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু করেছিল। এ ঘটনা কেউ দেখতে না পেলে আগামী রোববার ব্যাংক খোলার দিনের আগেই ভল্ট ঘর পর্যন্ত জড়িতরা পৌঁছে যেতে পারতো বলে পুলিশ ধারনা করছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে বড় সংঙ্ঘবদ্ধ চক্র জড়িত আছে বলেও পুলিশ ধারনা করছেন।
ঘটনা জানাজানির পর সেখানে উপস্থিত হন রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (সদর) তানভির হায়দার চৌধুরী। তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংক কার্যালয়ের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে অন্তত ১৬ কোটি টাকা লুট হয়। এরপর পর্যায়ক্রম বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার সোনালী ব্যাংক শাখার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চুরির চেষ্টা করা হয়।