নারী স্বাধীনতাকামী সৌদি নারীর একটি দল পুরুষদের অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তির দাবিতে সমর্থন চেয়ে সে দেশের শূরা কাউন্সিলের (পরামর্শ কমিটি) কাছে আবেদন জানিয়েছে। কট্টর সুনি্নপন্থি এ রাজতন্ত্র শাসিত দেশটিতে নারীর যে কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষের একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে। আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারী এক সৌদি নারী এ কথা জানিয়েছেন। । সৌদি আরবে নারীর ব্যাপারে কঠোর ইসলামী অনুশাসন অনুসরণ করা হয়। ফলে সে দেশের নারীরা তাদের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া একা ভ্রমণ কিংবা কাজে যোগ দিতে পারেন না। পৃথিবীতে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ, যেখানে নারীর গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই এবং পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া তাদের নিজস্ব পরিচয়পত্র পাওয়ারও অধিকার নেই। সৌদি নারী অধিকার কর্মীদের একজন আজিজা ইউসুফ বলেন, শূরা কাউন্সিলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, নারীর ওপর থেকে পুরুষের সর্বময় কর্তৃত্বের প্রচলিত নিয়মের অবসান ঘটানো হোক। তিনি বলেন, সৌদি আরবে নারীদের ব্যাপারে যে নিয়ম অনুসরণ করা হয়, তার কোনোটাই ইসলাম কিংবা নীতিসম্মত নয়। ১০ নারী স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে নারীর গাড়ি চালানোর অধিকার দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালেও প্রয়োজনে তাদের ক্যাম্পাস ছাড়ার অধিকার দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। সম্প্রতি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ক্লাস চলাকালেই সন্তান জন্ম দেন। কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে রাজি হয়নি। গত বছরের অক্টোবরে সৌদি শূরা কাউন্সিলে নারীর গাড়ি চালানোর অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে একটি বিল এনেছিলেন সৌদি নারী সাংসদরা। শূরা কাউন্সিলে সে বিল আলোচনার জন্য তোলা হয়েছে। তবে কমপক্ষে ১৫০ জন সদস্যের সমর্থন না পাওয়ায় বিলটির ওপর আলোচনা হতে পারেনি।